ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নিহত চিকিৎসকের দেহে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। তার দেহে ‘যৌন হেনস্তা’র প্রমাণও মিলেছে। এমনটাই রয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। তাতে বলা হয়েছে, তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। এমনকি তার যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক কিছু প্রবেশ করানো হয়েছিল।
একাধিক গণমাধ্যম পত্রিকার খবরে বলা হয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরে প্রচুর আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। নির্যাতিতার ঠোঁট, মাথা, নাক, চিবুক, গলা, বাঁদিকের ঘাড়, বাঁ হাত, গোড়ালিতেও আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাছাড়াও নির্যাতিতার যৌনাঙ্গের ভিতরেও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। নির্যাতিতার ফুসফুস এবং শরীরে ভিতরে অন্যান্য অংশেও রক্ত জমাট বেঁধে থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছিল, নির্যাতিতার শরীরের দেড়শো গ্রাম অথবা মিলিগ্রাম দেহরস মিলেছে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সেরকম কোনও তথ্যের উল্লেখ নেই। বরং ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরে সাদা আঠালো তরলের অস্তিত্ব মিলেছে। যদিও সেই তরল আদতে কী, তার উল্লেখ নেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। ফরেন্সিক পরীক্ষাতেই তা স্পষ্ট হবে। বরং ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নিয়ম মেনেই মৃতদেহের বিভিন্ন অংশের ওজন উল্লেখ করা হয়েছে। নির্যাতিতার পাকস্থলীতে হজম না হওয়া কিছু খাবার মিললেও কোনও অস্বাভাবিক গন্ধ পাওয়া যায়নি বলেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
মৃত্যুর আগে অসচেতন অবস্থায় তাঁকে ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলছে রিপোর্টে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চার তলা থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ হয়। ঘটনায় তদন্ত করছে সিবিআই। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে, বারবার দাবি করা হয়েছে এই ঘটনা একার পক্ষে সম্ভব নয়। মূল অপরাধের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি জড়িত বলে সন্দেহপ্রকাশ করছে তাঁরা। ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।